,

হবিগঞ্জের ব্যারিস্টার সুমনসহ চার এমপিই ক্রীড়া সংগঠক

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ জেলার চারটি আসনে বিজয়ী সব এমপি ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াপ্রেমী। তাঁরা শুধুমাত্র জেলা ক্রীড়াঙ্গনই নয়; দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে।
হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে বিজয়ী এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী দুই মেয়াদ আগে যখন সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি ছিলেন তখন ক্রীড়া বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসাবে সক্রিয় ছিলেন। তিনি সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে সাফ গেমস এ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার বিশেষ মনোযোগ রয়েছে।
হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে তরুণ এমপি হয়েছেন নৌকার এডভোকেট ময়েজ উদ্দিন শরীফ রুয়েল। হবিগঞ্জ শহরের যে মহল্লায় তিনি বসবাস করেন সেই পাড়ার জনপ্রিয় ক্রিকেট ক্লাব অনুশীলন ক্লাবের একজন সদস্য তিনি। তিন মাস আগে বানিয়াচংয়ে ফুটবল খেলা আয়োজন করে তিনি সবার নজড় কারেন।
হবিগঞ্জ-৩ (হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ) আসনে চারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মো. আবু জাহির এমপি। শিক্ষা, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিসহ সব ক্ষেত্রেই তাঁর বিচরণ চোখে পড়ার মতো। এমপি হওয়ার আগে ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। এর আগে তিনি বিপুল ভোটে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সবুজ বাংলা ক্লাবসহ তার নিজ পাড়ার অনুশীলন ক্লাবের সভাপতি হিসাবে ক্রীড়াঙ্গনের তৃণমূল থেকেই তার বেড়ে উঠা। প্রথমবার এমপি হয়েই হবিগঞ্জবাসীকে আধুনিক স্টেডিয়াম করে দেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সবচেয়ে বড় পৃষ্টপোষক ও স্পন্সরও তিনি। তার নামে নির্বাচনী এলাকায় ফুটবল, ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টনসহ বিভিন্ন টুর্ণামেন্ট আয়োজন করা হয়।
হবিগঞ্জ-৪ (মাধবপুর-চুনারুঘাট) আসনের আলোচিক স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাজের মূল ফোকাস হলো ফুটবল। তার প্রতিষ্ঠিত ফুটবল ক্লাব জেলা পর্যায়ে একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন ক্লাব হয়। তার প্রতিষ্ঠিত ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমি দেশের সীমানা পেড়িয়ে ভারতের বিভিন্ন এলাকায়ও জনপ্রিয়। অনেক কৃতি ফুটবলার জন্ম হচ্ছে এই একাডেমি থেকে। ৪৫ বছর বয়সেও তিনি একজন স্ট্রাইকার হিসাবে মাঠে ঝড় তুলেন। ক্রিকেটেও সমান দক্ষ তিনি। জেলার ক্রিকেট লীগে অংশ নেওয়ার পাশাপাশি ব্যারিস্টারি পড়ার সময় তিনি মাইনর কাউন্ট্রি খেলেও আলোচনায় আসেন। তিনি ফুটবলকে বদলে দিতে বিভিন্ন সময় শক্তিশালী ভূমিকা রাখেন। বাফুফের নেতৃত্ব নিয়ে তার সমালোচনাকে সবাই সাদরে গ্রহণ করেছেন।
হবিগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক বদরুল আলম বলেন, জেলা সদরের এমপির কাছ থেকে সরাসরি ক্রীড়াঙ্গন উপকৃত হয়ে আসছে। তিনি আবারও নির্বাচিত হওয়ায় হবিগঞ্জের ক্রীড়াঙ্গন এগিয়ে যাবে। তবে অন্য আসনেও ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্তরা নির্বাচিত হওয়ায় ওই এলাকায়ও ক্রীড়াঙ্গনের উন্নতি হবে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর